থমকে দাঁড়িয়েছে অর্থনীতি
কষ্টে আছে নুয়ে পড়া মানুষ ॥ অর্থনীতিতে ঘিরে থাকা চ্যালেঞ্জগুলো খোলাসা করে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন
॥ উসমান ফারুক॥
একটানা কয়েক বছর ধরে অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা এখনো ভোগাচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও স্বল্পআয়ের কর্মজীবীরা উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে নুয়ে পড়েছে। অর্থপাচার, অপচয় ও অনিয়মের পাহাড়সম বোঝা নিয়ে ডলার সংকট থেকে এখনো বেরিয়ে আসতে পারেনি দেশ। এতে সার্বিকভাবে অর্থনীতিতে যে এক ধরনের অনিশ্চয়তা জেঁকে বসেছে, তার কোনো কূল-কিনারা দেখছে না আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বিশ্বব্যাংকও। সংস্থাটি গত সপ্তাহে ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনেও অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ ও হতাশার চিত্র তুলে এনেছে। রিজার্ভ কমে যাওয়া, বিনিময় হার নির্ধারণে এখনো কোনো আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে না যাওয়া, তারল্য সংকট, ব্যাংকে খেলাপির উচ্চহার, শিল্পের কাঁচামাল আর মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধস ও অর্থনীতিতে এর প্রভাব, ক্রমাগত বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, সংস্কার কর্মসূচিতে সরকারের বিলম্ব ও কর্মসংস্থান কমে যাওয়ায় অধিকাংশ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হারানোর মতো বিষয়গুলো বর্ণনা করেছে বিশ্বব্যাংক।
প্রতিবেদনে পরামর্শ দিয়ে সংস্থাটি বলেছে, আর্থিক খাত ও মুদ্রানীতিতে জোরালো সংস্কার প্রয়োজন। এ সংস্কারটি যতটা সম্ভব দ্রুত করার আহ্বান করেছে বাংলাদেশের কাছে। দ্রুত সংস্কারে গিয়ে বাস্তবায়ন করতে না পারলে বহির্বিশ্বের সঙ্গে লেনদেন করতে আস্থা হারাবে বাংলাদেশ। সংস্থাটি সতর্ক করে ....বিস্তারিত
ইফতার মাহফিলে আমীরে জামায়াত
সকল বাধা উপেক্ষা করে সত্যের পথে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে হবে
স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘মুক্তি অর্জন করতে হলে অবশ্যই সংগ্রাম করতে হবে। বিনা সংগ্রামে কখনো মুক্তি আসে না। সকল বাধা ও শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেতে সত্যের পথে শক্তভাবে দাঁড়াতে হবে। আমরা সকলকে সত্যের পথে আহ্বান জানাই। কারো সাড়া দেয়া না দেয়া তাদের ব্যাপার। ক্ষমতায় যারা আছেন, আমরা তাদের দুশমন নই, একই রক্ত। হযরত আদম-হাওয়া আ.-এর রক্ত আমাদের সবার শরীরে। আমরা তাদেরও কল্যাণ কামনা করি। আমরা সকলের মঙ্গল কামনা করি।’ তিনি সকলের প্রতি সকল রকম হঠকারিতা ও বিশৃঙ্খলা পরিহার করার আহ্বান জানান। গত ৩০ মার্চ শনিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের আমন্ত্রণে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, পায়ে পারা দিয়ে কেউ ঝগড়া করতে এলে অবশ্যই তার জবাব দিতে হবে। বিনা সংগ্রামে মুক্তি আসে না। এ জাতিকে মুক্তির জন্য আরেকটিবার বুক সটান করে দাঁড়াতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, দুনিয়ায় কারো ক্ষমতা অসীম নয়। এক জায়গায় এসে থমকে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশের যেসব মানুষ মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করে শহীদ হয়েছেন, আহত হয়ে পঙ্গু হয়েছেন, জেলে গেছেন, সাত বছরের শিশুও রেহাই পায়নি। তাদের সকলের ত্যাগ ....বিস্তারিত
মুখগহ্বরের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সিংহভাগ তামাকসেবী
৬৩ শতাংশেরই মৃত্যু হয়
॥ হামিম উল কবির॥
বাংলাদেশে মুখগহ্বরের ক্যান্সারে বছরে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়। আক্রান্তদের ৬৩ শতাংশেরই মৃত্যু হয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে মুখগহ্বরের ক্যান্সার একটি অবহেলিত রোগ। সব মানুষের মধ্যে হতে পারে কিন্তু প্রধানত দরিদ্র শ্রেণির মানুষ রোগটিতে বেশি ভোগে দারিদ্র্যের কারণে। মুখগহ্বরের ক্যান্সার শনাক্তের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও মৃত্যুর হারে শীর্ষে। ২০২০ সালে দেশে ১৬ হাজার ৮৮৪ জন মুখগহ্বরের ক্যান্সারে আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে বলে ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার রিসার্চ ফান্ড ইন্টারন্যাশনালের (ডব্লিউসিআরএফ) রিপোর্টে বলা হয়েছে। অন্যদিকে এ দেশে প্রতি লাখে ২১ জন মুখগহ্বরের ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। পুরুষ রোগীদের মৃত্যুহার প্রতি লাখে ১৭.৪ এবং নারী রোগীরা মারা যাচ্ছে প্রতি লাখে ৬.১ জন। মুখগহ্বরের ক্যান্সারের ব্যাপারে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে বলে বাংলাদেশে এ ধরনের হার যেমন বেশি, তেমনি মৃত্যুর হারও বেশি। মুখগহ্বরের ক্যান্সার হলে মুখের অনেকগুলো অঙ্গকে জড়িয়ে ফেলে, ফলে এর অস্ত্রোপচার সহজ হয় না। সে কারণে প্রতিরোধই সর্বোত্তম পন্থা।
মুখগহ্বরের ক্যান্সার কী : ছোট ছোট অনেক অঙ্গ নিয়ে মুখ ও মুখগহ্বর গঠিত। মুখের বা মুখগহ্বরের শুরুটাই হয় ঠোঁট দিয়ে। এরপর মুখের ভেতরে রয়েছে মাড়ি, পাশে রয়েছে গাল, ওপরে তালু, তার পেছনে টনসিল, তার পেছনে রয়েছে ফ্যারিংস। এছাড়া জিহ্বা ও দাঁতও মুখগহ্বরের অংশ, কিছু ....বিস্তারিত
নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি
উৎপাদন ও সরবরাহে কমতি নেই, তবে দাম ঠিকই বাড়তি
স্টাফ রিপোর্টার : উৎপাদন ও সরবরাহে কোনো ঘাটতি না থাকার পরও যখন বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য বাড়ে, তখন স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যায়, সমস্যা কোথায়? কারা পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ে। ক্রেতাদের কথা ভাবনায়ও নিতে চায় না এসব অসাধু ব্যবসায়ী। তারা চান জিম্মি করে পয়সা আদায় করতে আর অসহায় ক্রেতা বাধ্য হয়েই বেশি মূল্যে পণ্য কিনছেন। বাজার মিনিটরিংয়ের কথা থাকলেও তা ক্রেতাদের চোখে পড়ে না। অনেক সময় কাগজে-কলমে মনিটরিং দেখানো হলেও বাজারে এ ইতিবাচক কোনো প্রভাব নেই। ফলে ভোক্তাদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।
পুরো রোজায় বাজারে মাছ-গোশত-সবজিসহ প্রতিটি পণ্যেই রয়েছে বাড়তি দাম। এর সঙ্গে আবার যুক্ত হয়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিনকে কেন্দ্র করে বাড়তি উত্তাপ। ক্রেতাদের অভিযোগ, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বেশিরভাগ মানুষই শুক্রবার বাজার করে। আর এ চাহিদাকে ঘিরে ব্যবসায়ীরা প্রায় প্রতিটি পণ্যেরই দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়।
বর্তমানে রাজধানীর বাজারগুলোয় শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা। টমেটো কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা অন্যান্য দিনে ৩০ টাকাতেই পাওয়া যায়। ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি, যা কয়েকদিন আগে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। বাজারে প্রতিপিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা করে। সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পণ্য আলু বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, তুলনামূলক সবচেয়ে কমদামে বিক্রি হচ্ছে পেঁপে ৪০। এছাড়া বরবটি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, শালগম ৪০, ....বিস্তারিত
সাংবাদিকদের সম্মানে ছাত্রশিবিরের ইফতার মাহফিলে মঞ্জুরুল ইসলাম
ক্যাম্পাসগুলোয় ভিন্নমতাবলম্বী সংগঠনকে কাজ করতে দিচ্ছে না
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে সাংবাদিকদের সম্মানে এক ইফতার মাহফিল রাজধানীর একটি মিলনায়তনে গত ১ এপ্রিল সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ডা. সাদেক আব্দুল্লাহর পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক, ছাত্রশিবিরের সাবেক অফিস সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার, কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, সাবেক মিডিয়া সম্পাদক আশরাফুল আলম ইমন, ঢাকা মহানগরী পূর্ব সভাপতি অহিদুল ইসলাম আকিক প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে শিবির সভাপতি বলেন, এদেশ ১৮ কোটি মানুষের দেশ। সকল ক্যাম্পাসে সকল ছাত্র সংগঠনের কাজ করার অধিকার রয়েছে। অথচ ক্যাম্পাসগুলোয় ভিন্নমতালম্বী সংগঠনকে কাজ করতে দিচ্ছে না ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের টেন্ডারবাজি, হল দখল, চাঁদাবাজিসহ তাদের নানা ক্যাম্পাস ভায়োলেন্সের কারণে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিপন্ন। আবরারের মতো মেধাবী শত ছাত্রকে হত্যা করেছে এ সংগঠনটি। ছাত্রসমাজ তাদের দেশ, সমাজ ও শিক্ষাবিরোধী কোনো অপতৎপরতা মেনে নেয়নি, সামনেও নেবে না, ইনশাআল্লাহ।
শিবির সভাপতি বলেন, শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেশের মানুষের মূল্যবোধ, চিন্তাবিরোধী জগাখিচুরি শিক্ষা চালুর অপচেষ্টা এদেশের সচেতন ছাত্রসমাজ মেনে নেবে না। অবিলম্বে দক্ষ, দেশপ্রেমিক, নৈতিকতাসম্পন্ন মানুষ তৈরির জন্য আলেম-ওলামা, দেশপ্রেমিক মানুষের নেতৃত্বে শিক্ষা কমিশনকে ঢেলে সাজাতে হবে।
শিবির সভাপতি আরও বলেন, সৎ, যোগ্য ও ....বিস্তারিত
ধনী ও দরিদ্রের ঈদে ব্যবধান ঘুচবে কীভাবে
স্টাফ রিপোর্টার : দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর আমাদের মাঝে আসে খুশির ঈদ। কিন্তু ঈদের এ খুশি সবার জন্য এক ধরনের হয় না, কারো ঈদ আনন্দের পরিবর্তে বিষাদেও পরিণত হয়। সমাজে বসবাসরত নাগরিকদের আর্থিক সামর্থ্যরে বিস্তর ফারাক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সীমাহীন ব্যবধান। কোনো কোনো ধনী পরিবার রয়েছে যারা দৈনিক যা অপচয় করে তাতে কয়েকটি দরিদ্র পরিবার স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে পারে। কিন্তু উচ্চবিত্তের এসব মানুষ দিনে দিনে আরও ধনী হচ্ছেন, আর দরিদ্ররা আরও দরিদ্র হচ্ছেন। কারণ অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জনের কোনো সুযোগই দরিদ্র জনসাধারণের জন্য নেই। তারা চাইলেই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন না। কারণ ঋণগ্রহণের শর্তপূরণের সামর্থ্যও তাদের নেই। আর্থিক সামর্থ্য না থাকার কারণে দরিদ্র পরিবারের মেধাবী সন্তানরা ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে পারেন না, সমাজের অনেক ভালো কাজ থেকেই তাদের দূরে থাকতে হয়, তেমনি ধনী ও সামর্থ্যবানদের সঙ্গে দরিদ্র সাধারণ মানুষের ঈদের ব্যবধান অনেক।
ঢাকার ডেমরা থানাধীন মাতুয়াইল এলাকার এক দুবাইপ্রবাসী পরিবারের খবর নিয়ে জানা গেছে, ওই পরিবারের কর্তাব্যক্তি রোজার শুরু থেকে ঈদবাজার করতে শুরু করেছেন। ২১তম (মাঝেমধ্যে বিরতি ছিল) রোজার দিনেও রাজধানীর একটি মার্কেটে এসেছেন ঈদ কেনাকাটায়। চার কন্যার সন্তানের জননী নিজেরও বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা এখনো শেষ করতে পারেননি। অর্থাৎ মধ্যবিত্ত এ পরিবারের বিদেশি ইনকামের কারণে কেনায় ব্যস্ত তারা। কিন্তু তার আশপাশে শত শত দরিদ্র মানুষ রয়েছে, যাদের দু’বেলা ভাত খাওয়ার ....বিস্তারিত
আমরা জামায়াত-অজামায়াত বুঝি না, প্রার্থী প্রার্থীই : ইসি রাশেদা
স্টাফ রিপোর্টার: আমরা জামায়াত-অজামায়াত কিছুই বুঝি না, আমরা বুঝি প্রার্থী প্রার্থীই। আমরা শুনেছি জামায়াত নির্বাচনে আসবে। তবে দলীয়ভাবে আসার সুযোগ নেই তাদের বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। গত রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে রংপুর ডিসির সম্মেলনকক্ষে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে রংপুর বিভাগের সকল ডিসি, এসপি, রিটার্নিং ও সহকারী কর্মকর্তা, ইউএনও এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন, মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, আট জেলার ডিসি, এসপি, ইউএনওসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াত নির্বাচন করা না করা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ইসি রাশেদা বলেন, ‘তারা নির্বাচনে আসবে এ ধরনের কথা আমরা শুনতে পাচ্ছি। তবে সত্য-মিথ্যা তারা প্রার্থী দেবেন কিনা। সেটা এখনো স্পষ্ট নয়। তারা নিবন্ধিত দলও না। ওইভাবে নিবন্ধিত দল হিসেবে তারা আসতেও পারবে না।’ ইসি রাশেদা বলেন, ‘আমরা জামায়াত-অজামায়াত কিছুই বুঝি না। আমরা বুঝি প্রার্থী প্রার্থীই। সব প্রার্থীকেই সমানভাবে আচরণবিধি মান্য করে তাকে কাজ করতে হবে। যিনি আচরণবিধি মান্য করে চলবেন।
তিনি তার সুফল পাবেন। যিনি ভোটারদের আকৃষ্ট করবেন, তিনি তার ফল পাবেন। এখানে বিশেষ আলাদা করে দৃষ্টি দেয়ার মতো পরিস্থিতি নেই।’ এ সময় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার নিয়ম ....বিস্তারিত
৩০ জুন এইচএসসি পরীক্ষা
স্টাফ রিপোর্টার : চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ৩০ জুন। তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে ১১ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত।
গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) এ পরীক্ষার সময়সূচি (রুটিন) ঘোষণা করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।
সূচি অনুযায়ী প্রথম দিন বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত। ঢাকা, রাজশাহী, যশোর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সারা দেশে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, পুনর্বিন্যাসকৃত (সংক্ষিপ্ত) পাঠ্যসূচিতে অনুষ্ঠিত হবে এ পরীক্ষা।
সূচি প্রকাশ করার পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কিছু নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো-
পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কক্ষে পৌঁছে আসন গ্রহণ করতে হবে।
প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল (সিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
ব্যবহারিক বিষয়সংবলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল (সিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট।
পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে প্রশ্নপত্রে ....বিস্তারিত
রুমা ও থানচিতে ব্যাংকে হামলা লুট অঙ্গুলি কুকি-চিনের দিকে
বান্দরবান সংবাদদাতা : বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে লুটপাটের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই জেলার থানচিতে আরও দুটি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত ৩ এপ্রিল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন। তিনি বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি, পৌঁছে বিস্তারিত জানাতে পারব। স্থানীয়রা জানান, বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে থানচি বাজার ঘিরে ফেলে ডাকাতরা। তারা ব্যাংক ও এর আশপাশের এলাকায় অস্ত্রের মুখে সবার কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর তারা ব্যাংক দুটির ভেতরে ঢুকে পড়ে। ব্যাংকের ভেতরে টাকা তুলতে যাওয়া একাধিক ব্যক্তি জানান, ডাকাতরা পাঁচ মিনিটের মতো ব্যাংকের ভেতরে ছিল। এ সময়ের মধ্যে তারা গুলি চালিয়ে ভীতি সৃষ্টি করে সব টাকা লুট করে নিয়ে চলে যায়। তারা জানান, ভেতরে ঢুকেই ডাকাতরা নিরাপত্তারক্ষীর অস্ত্র কেড়ে নেয় এবং গ্রাহক, কাউন্টার ও ভল্ট থেকে সব টাকা বস্তায় করে নিয়ে বের হয়ে যায়।
এর আগে গত ২ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বান্দরবানের রুমায় নতুন সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সোনালী ব্যাংকে একটি নাটকীয় হামলা চালিয়ে নগদ টাকা ও ১৪টি অস্ত্র লুটের ঘটনা ঘটে। সোনালী ব্যাংক বান্দরবান অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক মোহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, সোনালী ব্যাংক রুমা শাখায় ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনকে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা নিয়ে গেছে বলে শোনা যাচ্ছে। রুমা ....বিস্তারিত
সাপ্তাহিক সোনার বাংলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের পক্ষ থেকে সাপ্তাহিক সোনার বাংলার ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গত ৩০ মার্চ শনিবার শুভেচ্ছা জানান ও ক্রেস্ট প্রদান করেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার। ক্রেস্ট গ্রহণ করেন সাপ্তাহিক সোনার বাংলার চেয়ারম্যান একেএম রফিকুন্নবী ও বার্তা সম্পাদক ফেরদৌস আহমদ ভূইয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাপ্তাহিক সোনার বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার ও ফিচার এডিটর হারুন ইবনে শাহাদাত, সার্কুলেশন ম্যানেজার মজিবুর রহমান, বিজ্ঞাপন ম্যানেজার কামরুল হাসান, প্রোডাকশন ম্যানেজার জুলফিকার আলী, হিসাবরক্ষক তোফাজ্জল হোসাইন এবং জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য রুহুল আমিন, আকতার হোসেন, আদনান কাফি প্রমুখ। প্রেস ....বিস্তারিত
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
- সাপ্তাহিক সোনার বাংলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা
- সকল বাধা উপেক্ষা করে সত্যের পথে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে হবে
- থমকে দাঁড়িয়েছে অর্থনীতি
- মুখগহ্বরের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সিংহভাগ তামাকসেবী
- আমরা জামায়াত-অজামায়াত বুঝি না, প্রার্থী প্রার্থীই : ইসি রাশেদা
- ধনী ও দরিদ্রের ঈদে ব্যবধান ঘুচবে কীভাবে
- উৎপাদন ও সরবরাহে কমতি নেই, তবে দাম ঠিকই বাড়তি
- ৩০ জুন এইচএসসি পরীক্ষা
- রুমা ও থানচিতে ব্যাংকে হামলা লুট অঙ্গুলি কুকি-চিনের দিকে
- ক্যাম্পাসগুলোয় ভিন্নমতাবলম্বী সংগঠনকে কাজ করতে দিচ্ছে না